আগরতলা: রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। আগরতলার ওমেন্স কলেজকে ওমেন্স ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত ক্ষেত্রে এআই এর মাধ্যমে কাজ করা শুরু করেছে সরকার। রাজ্যে আরো ৩০টি স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়নে ২৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার। আজ ৭ রামনগর মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আজকের যারা ছাত্রছাত্রী তারাই আগামীদিনে রাজ্যের ভবিষ্যত এবং দেশের ভবিষ্যত। আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরীক্ষা সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের চাপ কমানোর লক্ষ্যে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কার্যক্রম শুরু করেছেন। পরীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে পরীক্ষা যাতে ছাত্রছাত্রীদের চাপের বিষয়বস্তু না হয় সেই লক্ষ্যে এই কার্যক্রম সূচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেন আমরা সেভাবে কাজ করি। তিনি দেশকে যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর কার্যকালের সময়টা আগামীতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর আগামীতে এসম্পর্কে গবেষনা করবেন মানুষ।
আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এনসিইআরটি পাঠক্রম চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলগুলিকে ইংলিশ মিডিয়ামে উন্নীত করা হয়েছে। সুপার ৩০ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১ জন আইআইটি, ৩ জন এনআইটি এবং ৩ জন এমবিবিএস কোর্সে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মেধা পুরস্কার চালু করা হয়েছে। স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অভিন্ন প্রশ্নপত্র চালু করা হয়েছে। ৪৪টি স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। এছাড়া আরো প্রায় ৩০টি স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এজন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ২৬৪ কোটি টাকা। এবছর মাধ্যমিকে প্রায় ৩৪৫টি স্কুলে ১০০% পাশ করেছে। মোট পাশের হার ৮৬.৫৩%। উচ্চ মাধ্যমিকে ৩৯টি স্কুলে ১০০% পাশ করেছে। পাশের হার ৭৯.২৯%। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই ডিজিটাল যুগে এআই ইতিমধ্যে রাজ্যে চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন যাদের হাতে জ্ঞান থাকবে আগামীতে তাদের হাতে দেশ, রাজ্য ও পৃথিবী থাকবে। যোগার মাধ্যমে নিজেকে চেনা যায়, জানা যায়। যোগা চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে মেধার কোন অভাব নেই। রাজ্য সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে গুণগত মানের শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাশ শুরু হয়েছে। থিঙ্কারিং ল্যাব, এনসিটি ল্যাব চালু করা হয়েছে। স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের বিনামূল্যে বাই সাইকেল দেওয়া হয়েছে। কলেজগুলিতে ছাত্রীদের জন্য সমস্ত ধরণের ফি মকুব করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অরুণোদয় সাহা, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. ধনঞ্জয় গণচৌধুরী, সমাজসেবী পাপিয়া দত্ত সহ অন্যান্য কর্পোরেটর এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।