আগরতলা।।দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুর ৪৭তম পর্বে আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উপস্থিত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আজ পশ্চিম ভূবনবনের অজিৎ দেব তার স্ত্রীর হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে, সিপাহীজলার প্রতিমা অধিকারী আসেন পিত্তথলির পাথর সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে, উজান অভয়নগরে শিউলী ভট্টাচার্য্যর স্বামীর হার্ট ব্লকেজের সমস্যা, ডুকলির খোকন বিশ্বাসের দুর্ঘটনাজনিত আঘাত, যোগেন্দ্রনগরের তমাল সাহার স্ত্রীর কিডনির সমস্যা, ঊনকোটি জেলার সুধীর দেবনাথের স্ত্রীর চোখের সমস্যা, ভাটি অভয়নগরের বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ তার স্ত্রীর হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মানুষ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে এসে তাদের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ তপন কুমার মজুমদার সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন।
আগরতলার কদমতলার রাজীব দেববর্মা তার ছেলেকে ক্রীড়াবিদ হিসেবে গড়ে তোলার সাহায্যের প্রত্যাশা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তীকে এক্ষেত্রে কি করা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ আজ তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি কিছু সমস্যা পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সমাধান করা হবে বলে সমস্যাপীড়িতদের আশ্বস্ত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, আই, জি. এম হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. দেবাদ্রী দেববর্মা, ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শিরোমনি দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।