আগরতলা: মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আজ বলেছেন যে মানবাধিকারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য, আইনসভা, নির্বাহী, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম সহ গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভকে আরও শক্তিশালী এবং আরও দায়বদ্ধ করা অপরিহার্য।

তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছেন। সকলের জন্য ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সরকার গভীরভাবে সংবেদনশীল ও নিবেদিত। আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ত্রিপুরা মানবাধিকার সংস্থার (টিএইচআরসি) উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আজ আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপন করছি। আমরা সবাই জানি যে আইন সাধারণ জ্ঞান ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনকি মানবাধিকারও সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। যে আইনগুলি তৈরি করা হয়েছিল সেটা সবই মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত এবং আমরা যদি সেগুলি লঙ্ঘন করি তবে আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করি। পারিবারিক বিরোধের ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনে যাওয়া, শিশু-সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিলে তারা শিশু অধিকার কমিশনে যান। এই ধরনের বিষয় থেকে আমরা সঠিক এবং ভুল শিখতে পারি।

গণতন্ত্রে চারটি স্তম্ভ থাকে। আমরা যদি মানবাধিকারকে শক্তিশালী করতে চাই, তাহলে আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রত্যেকের অধিকার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রয়েছে, কারণ তিনি দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এসেছেন।মানবাধিকার অপরিহার্য। আমাদের সরকার প্রতিটি বিষয়ে সচেতন এবং সংবেদনশীল। কিছু করার আগে আমাদের সরকার কাজ করে এবং বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করে। সরকার এবং টিএইচআরসি এর মধ্যে একটি সমন্বিত সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে। কোনো সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিই। এই সরকার একটি গণমুখী সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেছেন যে আগে উত্তর পূর্বাঞ্চল অবহেলিত ছিল এবং এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে উত্তর পূর্ব যোগাযোগ, ইন্টারনেট এবং আরও অনেক কিছু থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে।আমরা যদি মানবাধিকার বজায় রাখতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরিন্দম লোধ, ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, আইন সচিব শঙ্করী দাস, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *