আগরতলা।।নবরূপে সজ্জিত মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদের এবং রাজ পরিবারের কাউকে আমন্ত্রণ না করায় শোরগোর হয়ে উঠে বিধানসভায়। অধিবেশনের শেষ দিনে এ নিয়ে মথা ও কংগ্রেস বিধায়কদের প্রশ্নের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী , রতন লাল নাথ ও অনিমেষ দেববর্মা।

সোমবার উদয়পুরে নবরূপে সজ্জিত মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে পূজাও দেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে রাজপরিবারের কাওকে ও বিরোধী দলের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তা নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় মথা ও কংগ্রেসের বিধায়করা ছেঁকে ধরেন ট্রেজারি বেঞ্চকে। অনুষ্ঠানে রাজপরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে শাসক জোট শরিক তিপরা মথা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজপরিবারের কোনও সদস্য আমন্ত্রিত না হওয়ায় প্রশ্ন তোলেন তিপরা মথার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই।

তিনি জানতে চান, অনুষ্ঠানে রাজপরিবারের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন? এর জবাবে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার নির্দেশে তৈরি অতিথি তালিকায় রাজপরিবারের সদস্য সহ তিনজন সাংসদ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে প্রধানমন্ত্রী দফতর একটি সংশোধিত তালিকা পাঠায়, যেখানে পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ তথা রাজপরিবারের সদস্য কৃতি দেবী দেববর্মা এবং তিপরা মথার বিধায়ক তথা মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মার নাম রাখা হয়। পরে এই বিষয়ে আলোচনা করেন তিপরা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিত সিনহা, মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, মন্ত্রী রতনলাল নাথ। এমনকি শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই বিষয়ে আলোচনা করেন।

বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মার সঙ্গে উনার ফোনে কথা হয়। তিনি রাজ্যের বাইরে ছিলেন এবং জানিয়েছেন, কোনও আমন্ত্রণপত্র পাননি। এমনকি রাজমাতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র পূজা অর্চনা ও মন্দিরের উদ্বোধন করতেই এসেছিলেন, কোনও ভাষণ বা জনসভা ছিল না।

ফলে দিল্লির সাউথ ব্লক তাদের প্রটোকল অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা ঠিক করে দেয়। মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মাও এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রটোকলের কথাই বলেন।

কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিত সিনহা প্রশ্ন তোলেন, “বিরোধী বিধায়কদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন? এই মন্দির কি শুধুই শাসক দলের ? শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র মা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে পূজা দিতে এসেছিলেন। যদি তাঁর কোনও জনসভা থাকত, তাহলে নিঃসন্দেহে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হতো।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *