আগরতলা: জিএসটি’র নয়া ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবাই খুশি। পণ্যসামগ্রীর দাম কমে যাওয়ায় মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। অর্থনীতির দিক দিয়ে আগামীতে সারা বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারে ভারত।
আজ আগরতলার ব্যস্ততম ও বৃহত্তম মহারাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখে নয়া জিএসটি সম্পর্কে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটি হার সারা দেশে কার্যকর হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। যা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে আজ ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে বড় বাজার মহারাজগঞ্জ বাজারে এসেছি এবং প্রধানমন্ত্রী যে কাজটা করলেন সেবিষয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হই। দেখা গেল পণ্যসামগ্রীর দাম কমে যাওয়ায় একটা খুশির মহল বিরাজ করছে। এজন্য মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগে অনেক ধরনের ট্যাক্স ছিল। কারখানা থেকে বেরোলে ট্যাক্স, রোড ট্যাক্স, ভ্যাট, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে ট্যাক্স দিতে হতো। আর সব ট্যাক্স মিলিয়ে জিএসটি শুরু করা হলে অনেক হইচই হয়। পাঁচটা স্ল্যাব থেকে এখন দুটো স্ল্যাবে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কর ব্যবস্থার সংস্কার শুরু করেন তখন বিরোধীরা দেশের সর্বনাশ হবে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বাজে হবে এসব নানা ধরনের কথা বলেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরা দেখলাম ভারতবর্ষের অর্থনীতি ১১তম স্থান থেকে এখন চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে।
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ এ বিকশিত ভারত গড়ে তোলার কথা বলছেন। তিনি টার্গেট দিয়েছেন ৩০ প্লাস ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেখা যাচ্ছে সেটাও পার হয়ে যেতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে ২০৫০ বা তারপরে সারা পৃথিবীর মধ্যে অর্থনীতির দিক দিয়ে ভারত সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারে।