আগরতলা।। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ভারতীয় সাহিত্য-সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে সাহিত্য, সংস্কৃতির কল্পনা করা অসম্ভব। তাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত বেশি চর্চা করা হবে ততই আমরা সমৃদ্ধ হবো।

শুক্রবার সকালে রবীন্দ্রকাননে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রভাতি কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত প্রভাতি কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে বিধায়ক শ্রী মজুমদার বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের সকলের কাছে একটা আবেগের বিষয়। ত্রিপুরার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল।

ত্রিপুরাকে নিয়ে তিনি অনেক নাটক, উপন্যাস লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের চিন্তা, দর্শন ও ভাবধারাকে আগামী প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য রচনার মাধ্যমে মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহের ভাবনা ফুটে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথের চিন্তা, দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মীনারাণী সরকার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, ত্রিপুরা হর্টিকালচার কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান জওহর সাহা, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মণ এবং বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কমল বরণ চক্রবর্তী। প্রভাতি কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ নৃত্য, সংগীত এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *