ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। মোক্ষম জবাব হয়েছে। প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে। তাও রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ লীগের খেলায় শক্তিশালী বাংলার বিরুদ্ধে। শামী-কায়েফ ভাতৃদ্বয় সমৃদ্ধ বাংলা। নিছক অর্থে অপ্রত্যাশিত সাফল্য বললে অত্যুক্তি ঠেকবে না।

প্রথম দুই ম্যাচে অনেকটা ফ্লপ পেশাদারী ক্রিকেটার হনুমা বিহারী এমনভাবে জ্বলে উঠবে, পাশাপাশি মনি শংকর মুরা সিংয়ের অধিনায়কোচিত অল রাউন্ড পারফরম্যান্স, যেমন বোলিংয়ে, তেমনি ব্যাটে। অপরাজিত শতক এবং বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড মনিশঙ্করের নেতৃত্বে এমবিবি স্টেডিয়ামে, দীর্ঘদিন ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে রাখবেন। ‌

পরপর দুই ম্যাচে যথাক্রমে সার্ভিসেস ও হরিয়ানার বিরুদ্ধে বিধ্বস্ত প্রায় রকমের হেরে, ছন্নছাড়া অবস্থায় তলানিতে ঠেকলে, আজ বাংলা ম্যাচের চতুর্থ তথা অন্তিম দিনে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে অনেকটা ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল পেয়েছে। অন্ততপক্ষে আসন্ন চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে আসামের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে পয়েন্ট তালিকায় আসাম থেকে এক ধাপ উঁচুতে অবস্থান করার স্বস্তি শিবিরে আনতে পেরেছে।

উল্লেখ্য, আগরতলার এমবিবি স্টেডিয়ামে শনিবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ত্রিপুরার দলনেতা মনি শংকর প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলার গড়া প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানের জবাবে টিম ত্রিপুরা আজ মঙ্গলবার ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম বেলায় ৩৮৫ রানে শেষ করে। লিড হাতছাড়া করে বাংলা পুনরায় দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করলে দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে ২৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৯০ রান সংগ্রহ করে। বাংলার পক্ষে প্রথম ইনিংসে সুদীপ কুমার ঘরামির ১০৮ রান, শাকির হাবিব গান্ধীর ৯৫ রান এবং ত্রিপুরা দলের পক্ষে হনুমা বিহারীর ১৪১ রান ও মনি শংকর মুরাসিংয়ের অপরাজিত ১০২ রান বেশ উল্লেখযোগ্য।

মনিশঙ্কর ১৩০ বল খেলে বারোটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত ভূমিকায় ১০২ রান সংগ্রহ করে। হনুমা বিহারী ১৪১ রান পেয়েছে ২৫৩ বল খেলে ১৯ টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি সহযোগে। বোলিংয়ে মনি শংকর মুরাসিং ও রানা দত্ত প্রথম ইনিংসে তিনটি করে উইকেট পেয়েছিল। ‌এদিকে বাংলার বোলার মোঃ কায়েফ ৭৯ রানে চারটি এবং ঈশান পোড়েল ৭২ রানে তিনটি উইকেট পেয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ত্রিপুরার অভিজিৎ সরকার দুটি উইকেট পেয়েছিল ১১ রানের বিনিময়ে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *