আগরতলা।।পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া ভালো মানের ক্রিকেট প্লেয়ার তৈরি করা যাবে না। রাজ্যে ভালো প্লেয়ার তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে কোচ ও সংশ্লিষ্ট স্টাফদের। খেলাধুলা সহ সবদিকেই ত্রিপুরা এখন উপরের স্তরে চলে এসেছে।

ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আজ এমবিবি স্টেডিয়ামের ক্লাব হাউসে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির ও খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে পানীয় পৌঁছে দিতে ব্যাটারি চালিত দুটি গাড়ির উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনে আমি প্রায় আড়াই বছরের অধিক ছিলাম। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটকে কিভাবে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করেছি। এখন বর্তমান কমিটিতে অনেকে আমার সময়ে ছিলেন। আবার অনেকে নতুন দায়িত্বে এসেছেন। তারা প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে স্বচ্ছতা বজায় রাখা। নতুন কমিটিও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ত্রিপুরায় নতুন নতুন ভালো ক্রিকেট প্লেয়ার তুলে আনা। শুধু আগরতলা কেন্দ্রিক নয়, গ্রাম গঞ্জ থেকেও ভালো মানের প্লেয়ার তুলে আনতে হবে। আমি সভাপতি থাকার সময়ও এনিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মহকুমায় প্র্যাকটিস করার জন্য হল গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে অনেক লাভ হবে। পরিকাঠামোর উন্নয়ন না হলে কোন অবস্থায় ক্রিকেট প্লেয়ার তৈরি করা যাবে না। আর খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নেই। মাঠ ছাড়া বাড়িতেও প্র্যাকটিস বজায় রাখা দরকার। এক্ষেত্রে প্লেয়ারদের যথাযথ কোচিং দিতে হবে কোচদের। কোচ ও অন্যান্য স্টাফদের শিক্ষার্থীদের উপর নজর রাখতে হবে। তারা কি করছে বা কি না করছে সেটা যথাযথভাবে নজর রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। সঠিকভাবে নজরদারি না রাখলে পয়সা খরচ করেও কোন লাভ হবে না। ডাঃ সাহা বলেন, আমাদের ছেলেদের মধ্যে গুণের কোন অভাব নেই। খেলাধুলা সহ সবদিকেই ত্রিপুরা এখন উপরের স্তরে চলে এসেছে। সবদিক দিয়ে ত্রিপুরা এখন ফ্রন্ট রানার স্টেট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলকে অষ্টলক্ষী নাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন এই অষ্টলক্ষীর মধ্যে একটা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা হওয়া প্রয়োজন। আমরা ছোট প্রদেশ হলেও চেষ্টা করছি যাতে সবদিক দিয়ে উন্নত করা যায়। আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে মাথাপিছু আয় এবং জিডিপি এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। সেক্ষেত্রে খেলাধুলার দিক দিয়েও এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।

আজ এখানে ব্যাটারি চালিত যে দুটি গাড়ি দেওয়া হয়েছে এজন্য স্টেট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এভাবেই পরিকাঠামো উন্নয়ন করা যাবে। আগামীদিনেও তারা এভাবে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পাশাপাশি এদিন স্বেচ্ছা রক্তদান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। রক্তদানের প্রেক্ষাপট সম্পর্কেও আলোচনা করেন তিনি। কেন রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেসম্পর্কে বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও সংগঠনগুলিকে রক্তদানে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডাঃ সাহা।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, এসবিআই এর জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র দাস, ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন লোধ, সচিব সুব্রত দে সহ অন্যান্য সদস্য ও খেলোয়াড়গণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *