আগরতলা: চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার ধলাই জেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের সাথে কোনও ধরণের রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। প্রকৃত খেলোয়াড়দের তুলে আনতে মেধাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।কমলপুরে কে সি গার্লস স্কুল ময়দানে নবনির্মিত ক্রিকেট গ্রাউন্ড এবং টিসিএ বনাম বেঙ্গল টাইগার্সের টি১০ প্রদর্শনী ম্যাচের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটা সত্যিই একটা খুশির দিন। বিশেষ করে কমলপুর মহকুমার মানুষের জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের দিন। আমি যখন টিসিএর সভাপতি ছিলাম, তখন আমি শুনেছি যে এই স্টেডিয়ামটি ২০১৭ সালে গোঁজামিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে আমি এটি দুই থেকে তিনবার পরিদর্শন করেছি। এটি একটি অপরিকল্পিত উপায়ে নির্মাণ করা হচ্ছিল।
আমি যারা এই নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং যথাযথভাবে তৈরি করতে বলি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রিকেটকে ঘিরে নানা ধরনের রাজনীতি ছিল। এমন অনেক ভালো প্লেয়ার ছিলেন, যারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন। যদিও রাজনীতির কারণে তাদের কখনও সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সব জায়গায় রাজনীতি করা হয়েছিল তখন। রাজনীতির পরিচয় দেখে ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এমনই কয়েকজন ছিল যাদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে দেওয়া হয়েছিল শুধু পার্টির জোরে। কারণ সবকিছুতে নিজেদের লোক দেখে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল তখন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের সাথে যাতে কোন রাজনীতি না হয় সেটা অগ্রাধিকার দিয়েছে আমাদের সরকার। আমরা মেধাকে শ্রদ্ধা করি। এখন সেই দিশা নিয়ে খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করছে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন (টিসিএ)। এজন্য টিসিএকে ধন্যবাদ জানাই। খেলোয়াড় বাছাইয়ের সময়ে আমরা মেধাকে মর্যাদা দিই, এক্ষেত্রে রাজনীতির পরিচয় দেখা হয় না।
আমরা সরকারি চাকরি প্রদান করার ক্ষেত্রেও মেধা ও স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আর বিরোধীদের কাজ হচ্ছে সরকারের ইতিবাচক কাজগুলি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরো বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এধরণের স্টেডিয়াম আরো নির্মাণ করার উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিভার অভাব নেই, তবে অনুশীলন অপরিহার্য। আর রাজ্যে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণের সময়ও রাজনীতি করা হয়েছিল।
সিপিএম সরকার সমস্যা তৈরিতে মাস্টার ছিল এবং আমরা সেই সমস্যাগুলি সমাধান করছি। সম্প্রতি, এমবিবি স্টেডিয়ামে একটি ইভেন্ট হয়েছিল এবং আমাকে বলা হয়েছে যে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কাজ সম্পন্ন হবে। তখন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়রা এখানে আসবেন এবং খেলবেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব, টিসিএর সহ সভাপতি উপনন্দা দেববর্মা, টিসিএর সচিব সুব্রত দে, উপদেষ্টা তপন লোধ, ধলাই জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।