আগরতলা: ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোয়ালিয়রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দেশের অন্যতম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী।

সেই হিসাবে বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতরত্ন প্রয়াত অটলবিহারী বাজ পেয়ির জন্মবার্ষিকী। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে এই দিনকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।এদিন সারা রাজ্যে বুথ স্তর থেকে মন্ডল জেলা বিভিন্ন স্তরে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতরত্ন প্রয়াত অটলবিহারী বাজ পেয়ীর ১০০ তম জন্মদিবস উদযাপন করেন দলীয় কার্যকর্তারা।

তারই অঙ্গ হিসাবে বৃহস্পতিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ির প্রতি কৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়,বিধায়ক ভগবান দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।ফের নতুন করে শুরু হল বিজেপির বিকাশ পথ।

তা পুনরায় এদিন বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অটলবিহারী বাজপেয়ির এর উপর একটি বই লিখেছেন। এই বইটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশের পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরে বিকাশ পথ প্রকাশিত হচ্ছিল। মাঝখানে তা বন্ধ হয়ে পড়ে।তা পুনরায় এই দিন প্রকাশনা শুরু হয়।

বিকাশ পথ থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি সম্পর্কে দলীয় নেতৃত্ব কর্মী সমর্থক অনি কিছু জানতে পারেন। বিশেষ করে রাজ্যে আগে কি হয়েছিল এবং এখন কি হচ্ছে সবকিছুই জানা যায় এই বিকাশ পথ বইটি থেকে।শুধু প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব নয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও এই বিকাশ পথ পাঠানো হয়।ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম দিবসকে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ভারতীয় রাজনীতিতে অটল বিহারী বাজপেয়ীর অবদান ও আদর্শকে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন বিজেপির নেতৃত্বরা। এদিনের অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা ও কর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আজকে যারা প্রশাসন চালাচ্ছেন তাদের কাছে অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রশাসনিক কর্ম দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গ্রামীণ স্বরাজ ও গ্রাম উন্নয়নের কথা ভেবেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।

তিনি বলতেন যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রাম উন্নয়ন না হবে এবং অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়ন না পৌঁছাবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন বিকশিত ভারতের স্বপ্ন। এই স্বপ্নের বীজ রোপন করেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি। ভারতকে যদি উন্নয়নের শিকড়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে দেশের প্রধান চারটি শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

পাশাপাশি গ্রামকে যদি শহরের সঙ্গে উন্নয়ন করা না যায়, তাহলে দেশকে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এই এমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতের প্রয়াত ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। তিনি বলতেন তখনই গ্রামের অর্থনীতি উন্নত হবে। উন্নয়নমুখী রাজনীতির প্রতীক হিসাবে আজও প্রাসঙ্গিক অটল বিহারী বাজপেয়ির চিন্তাধারা।

তার দেখানো আদর্শকে সামনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এদিন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বিজেপির নেতৃত্বরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *