আগরতলা : ২৫ ডিসেম্বর প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এই উপলক্ষে বুধবার বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সম্বোধন করেন বিজেপি প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্চাশ পাবিয়া ছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস।

তিনি জানান, অটল বিহারী বাজপাইয়ের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের প্রতিটি জেলা, মণ্ডল এবং বুথ স্তরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ভগবান চন্দ্র দাস বলেন, অটল বিহারী বাজপাই ছিলেন আধুনিক ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি শুধু একজন দক্ষ প্রশাসকই নন, বরং একজন আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ, দূরদর্শী নেতা ও সংবেদনশীল কবি হিসেবেও সর্বজন শ্রদ্ধেয়।

তাঁর নেতৃত্বে দেশ সুদৃঢ় শাসনব্যবস্থা, জাতীয় ঐক্য ও উন্নয়নের পথে অগ্রসর হয়েছিল। তিনি আরও জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান, স্মরণ সভা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিবির, রক্তদান শিবির, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হবে।

বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ ডিসেম্বর দিনটি দেশজুড়ে ‘সু-শাসন দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। অটল বিহারী বাজপাইয়ের শাসন দর্শন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসনের ভাবনাকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। ভগবান চন্দ্র দাস বলেন, “আজকের যুব সমাজকে অটলজির আদর্শ, দেশপ্রেম ও নৈতিক রাজনীতির পথ দেখানো আমাদের দায়িত্ব। তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।” তিনি আরও জানান, এই উপলক্ষে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরের সমস্ত নেতা-কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে যুক্ত করেই কর্মসূচিগুলি বাস্তবায়িত করা হবে।

উল্লেখ্য, অটল বিহারী বাজপাই ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, পরমাণু শক্তি নীতি, পররাষ্ট্রনীতিতে দৃঢ়তা ও শান্তির বার্তা দেশকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। ২০১৮ সালে তাঁর প্রয়াণ হলেও আজও তাঁর আদর্শ ও কর্মধারা ভারতীয় রাজনীতিতে দিশা দেখিয়ে চলেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *