আগরতলা।।টিপরা মথা কি ভাঙ্গনের মুখে নাকি গটআপ গেম খেলছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তিপ্রা মথার পতাকা ছেড়ে এবার জাতীয় পতাকা নিয়ে আন্দোলনে প্রাক্তন জঙ্গি নেতা তথা বর্তমান বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
অনুপ্রবেশকারীদের পুশব্যাক না করা হলে তিনি আরো কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন । সেই সঙ্গে টাউন হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন। যদিও রঞ্জিতের এই আন্দোলনের পাশে প্রদ্যুৎ কিশোরে দেববর্মনকে দেখা যায়নি। সোমবার রাজধানীতে একটি অরাজনৈতিক সমাবেশ এবং পদযাত্রা হয় মূলত রঞ্জিতের নেতৃত্বে। তিপ্রা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এবার দলীয় পতাকা ছেড়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সরব হন । সোমবার আগরতলার মূলত তার নেতৃত্বেই রেলিও সমাবেশ হয়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেশে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে পুশব্যাকের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য এই নির্দেশিকা মেনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে । রাজ্যেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অনুপ্রবেশকারীদের পুশ ব্যাকের দাবিতে সোমবার রাজধানীতে একটি অরাজনৈতিক সমাবেশ এবং রেলি সংঘটিত করলেন তিপ্রা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনের উক্তি সবাইকে মনে করিয়ে দিয়ে জানান, মহারাজ বলেছিলেন, পুইলা জাতি। তাই আজকে প্রথমেই আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এরপর রাজনীতি । তাই আমরা পার্টির পতাকা ছেড়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছি। এই লড়াই পাহাড়ি বাঙালি হিন্দু-মুসলমান বুদ্ধ খ্রিস্টান সকল অংশের রাজ্যবাসীর স্বার্থে ।
যারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে আমাদের অধিকার আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান তিনি। দাবি পূরণ না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এদিনের সমাবেশে আগরতলা টাউন হলের নাম পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তারও বিরোধিতা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, শহরের মধ্যে নতুন একটি যেন অত্যাধুনিক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি হল করা হয়। টাউন হলের যেন নাম পরিবর্তন না হয়। এর আগে রাজন্য আমলের দরবার হলে সুকান্ত একাডেমি গড়া , আস্তাবলের নাম বদলে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান গড়ার প্রসঙ্গ তুলেও উষ্মা ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিন সমাবেশের পর উপস্থিত কর্মী সমর্থকরা রাজধানীতে মিছিল সংঘটিত করে ।মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পদ পরিক্রমা করে। তাতে জানজাতিদের উপস্থিতি ভালোই লক্ষ করা যায়।