আগরতলা:পাহাড়ের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে জোর কদমে ময়দানে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার বিরোধী দল সহ শরিক দলকে রীতিমতো চমকে দিয়ে রাজধানী আগরতলায় মহা যোগদান সবার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। বিশেষ অসুবিধার কারণে দশ তারিখ মেগা যোগদান সভা হচ্ছে না।
তার পরিবর্তে ১৩ ডিসেম্বর মহা যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সামনে পাশাপাশি জানুয়ারি মাসের পর থেকে তিপ্রা মথা দলের সাথে জোটে না থাকার ইঙ্গিত দিলেন।অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মাতা আর সরকারের শরিক থাকবে না।সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান জন জাতির জেনারেল সেক্রেটারি বিপিন দেববর্মা।মথা’র ‘গুণ্ডাগিরি’ ২০২৬’র জানুয়ারি পর্যন্ত ! ২০২৬-এ এডিসি থেকে মথার বিদায় নিশ্চিত। এজন্যই হামলা হচ্ছে।
এটা মথার দুর্বলতা বললেন বিজেপি নেতা বিপিন দেববর্মা।তিনি বলেন ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন মন্ডলে মন্ডলে জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এবং মেগা যোগদান সভায় যোগদান কারীদের নামের তালিকাও তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার নামের তালিকা জনজাতি মোট চার হাতে এসেছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বিজেপি কোন জায়গায় দুর্বল নয়। তাই সংগঠন কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই মন্ডল থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ১৩ ডিসেম্বর মেঘা যোগ দান সভার প্রস্তুতি তে কোন দুর্বলতা না থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর মিশন এডিসির অন্যতম মুখ বিভিন্ন জানান, এখনো পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে সমাবেশে ২৫ হাজার লোকের সমাগম হতে পারে। ২০২৬-এ এডিসি নির্বাচন।
শরিক দল তিপ্রা মথা ইতি মধ্যেই বিজেপির জন্য পাহাড় অবরুদ্ধ করার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আশা রাম বাড়ি থেকে শুরু করে টাকার জলা, সিমনা এলাকাতে বিজেপির নেতাকর্মীরা মথার উগ্র সমর্থকদের হাতে রক্তাক্ত হয়েছে। খুমুলুঙ্গে বিজেপির পার্টি অফিস এবং নেতার বাড়িতে ভাঙচুর। তারপরও কিন্তু মিশন মুডে কাজ চলছে বলে দাবি করেন প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা।
তবে এটা ঘটনা, পাহাড়ে আঞ্চলিক দলের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে তুলতে যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন, দলের অতি ক্ষুদ্র একাংশ নেতা নেত্রী, মন্ত্রী ও বিধায়ক কে এক্ষেত্রে অনেকটাই নিষ্প্রভ মনে হয়। তা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়, যোগদান সভা গুলোর দিকে তাকালে।প্রায় প্রতিটি যোগদান সভাতেই মুখ হিসেবে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তার মানিক সাহা।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি তথা এমডিসি বিমল চাকমা।
