আগরতলা: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আজ বলেছেন যে বিহার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফলাফলের সাক্ষী হবে, যা মানুষের জমায়েত থেকে প্রমাণিত হয়েছে এবং জনগণ এখানে আর কখনও জঙ্গলরাজ হতে দেবে না। কারণ তারা উন্নয়ন চায়, যা শুধুমাত্র বিজেপিই দিতে পারে।

বিহারের রামনগর ও বাগাহা আসনের বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের লক্ষ্যে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। এই সভায় মানুষের উপস্থিতি নিজেই একথা বলছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিহার বিধানসভায় ২৪৩টি আসন রয়েছে এবং ৬ ও ১১ নভেম্বর দুটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ নভেম্বর তারিখে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আমি নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের সাথে আছেন এবং আগামী ১৪ নভেম্বর তারিখে কী ঘটতে চলেছে সেটা আগেই বলতে পারি। এই চম্পারনে ৯টি আসন রয়েছে এবং সমস্ত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে। বিহারে এবারের ফলাফল খুব ভালো হবে। মানুষ এখানে খুবই উচ্ছ্বসিত।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই জানেন যে চম্পারণ জেলায় মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ত্রিপুরাতেও আমরা বিহার দিবস উদযাপন করি। আমাদের রাজ্যে বিহারের অনেক লোক বাস করছেন। আমি বিহারের পাটনায় ৫ বছর কাটিয়েছি ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ। তাই মনে হচ্ছে আমি বাড়িতেই আছি। পাটনায় আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছেন। বিহার হচ্ছে ভারতের আত্মা, কারণ অনেক প্রতিভা বিহার থেকে উঠে এসেছে। আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যে ত্রিপুরা সুন্দরী মা আছেন, সেখান থেকে আশীর্বাদ নিয়ে এখানে এসেছি, যাতে চম্পারণে ৯টি আসনে আমরা জয়লাভ করতে পারি। ত্রিপুরা একসময় সন্ত্রাস ও অশান্ত রাজ্য ছিল। তারপর ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা সিপিএমের শাসন থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। এখন সব সন্ত্রাসবাদীরা আত্মসমর্পণ করেছে এবং ত্রিপুরা সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও জানান যে ত্রিপুরা এখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের হাইওয়ে, ইন্টারনেট, রেলওয়ে এবং এয়ারওয়ে সহ হিরা মডেল দিয়েছেন। আর বিহারের মানুষ খুবই অভিজ্ঞ। বিহারের কৃষকরাও কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন। বিহার গত কয়েক বছরে ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে এবং এই উন্নয়ন আগামী দিনেও অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত ভারত করার লক্ষ্যে কাজ করছি এবং এক্ষেত্রে বিহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা জানি লালুপ্রসাদ যাদবের সময়ে বিহারে জঙ্গল রাজ কায়েম ছিল। কিন্তু এখন বিহার সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। জনগণ তাকে আর মেনে নেবেন না। উন্নয়নের নিশ্চয়তা একমাত্র বিজেপিই দিতে পারে। বিহারকে উন্নয়নের দিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বিজেপি বিধায়ক প্রার্থীদের সকাল সকাল গিয়ে ভোট দিয়ে আসতে হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *