আগরতলা।।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১১ বছরের সাফল্যের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৪ সালের আগে ছিল দুর্নীতি , সন্ত্রাসবাদ ও নিজের লোকেদের পাইয়ে দেওয়া।
আর এখন রেসপনসিভ , রেস্পন্সিবল , একাউন্টেবল , রিফর্ম -ট্রান্সফর্ম ,পাবলিক পার্টিসিপেশন এর সরকার চলছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী তার ১১ বছর মেয়াদ কালের মধ্যে কি কি কাজ করেছেন তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারে যাচ্ছে বিজেপি। প্রতিটি মণ্ডলস্তর পর্যন্ত প্রচার নিয়ে যাওয়া হবে। বিগত ১১ বছরের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, বিকশিত ভারতের অমৃত কাল, সেবা ও সুশাসন গরীব কল্যাণে এবং স্বসক্ত ও সুরক্ষিত ভারত এই তিনটি মূল বিষয়কে প্রাধান্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাজ করছেন । মোদী যা বলেন তা করেন। এই ১১ বছর হলো দেশের জন্যে অমৃত কাল। দেশের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। আগে শুধু মুখে বলা হতো। এখন কাজ হয়। বিকাশের নতুন যাত্রা নরেন্দ্র মোদির মাধ্যমে মানুষ দেখতে পারছে।
মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বিগত ১১ বছরে সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলে উন্নয়ন ছিল না। সন্ত্রাসবাদের আতুর ঘর ছিল। মোদী উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭ টি রাজ্যের সঙ্গে সিকিমকেও যুক্ত করে অষ্ট লক্ষী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিরা মডেল দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা আসছেন। ২০১৪ সালের আগে ছিল দুর্নীতি , সন্ত্রাসবাদ ও নিজের লোকেদের পাইয়ে দেওয়া। আর এখন রেসপনসিভ , রেস্পন্সিবল , একাউন্টেবল , রিফর্ম -ট্রান্সফর্ম ,পাবলিক পার্টিসিপেশন এর সরকার চলছে। বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে।
তাই মুখ্যমন্ত্রী আগে কি ছিল তা দেখার জন্যে মাঝে মধ্যে পিছনের দিকে তাকানোর পরামর্শ দেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা, ওয়াকফ আইন সংশোধন , মাওবাদী দমন , অপারেশন সিঁদুর সবই উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। বিগত ১১ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন , বিকাশের নতুন যাত্রা মোদির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। সেইসঙ্গে বলেন, মোদির দেখানো পথেই রাজ্য সরকার কাজ করছে। আগামী প্রজন্মের জন্যে শক্ত ভিত্তি তৈরী করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের প্রদেশ সভাপতি সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য , প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মাও উপস্থিত ছিলেন।