নিউ দিল্লি।। আজ জাতীয় জীবনের এক বিশেষ দিন—৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীনতার গৌরবময় এই উৎসব।আজ দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেছেন। দেশের বর্তমান উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল নিয়ে তিনি বিশদভাবে কথা বলেছেন।”
জাতীয় উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ ইতোমধ্যেই জনজীবনে পরিবর্তন এনেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে জানান, আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্টার্টআপ সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, “তরুণরাই এই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের স্বপ্ন ও উদ্ভাবন আমাদের দেশকে বিশ্বে আরও উঁচু স্থানে নিয়ে যাবে।”
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি জানান, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ, প্রশিক্ষণ ও বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সফলতা পেতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তার মাধ্যমে অর্থনীতির ভিত্তি আরও মজবুত হচ্ছে।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার গৃহীত পদক্ষেপের কথা বলেন। উপকূলীয় এলাকা সুরক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের করের প্রতিটি টাকাই দেশের উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। সুশাসন নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার।”
ভাষণের শেষাংশে তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে উন্নয়নযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
“প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেশের উন্নয়নযাত্রা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে নতুন আস্থা ও প্রেরণা জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।”