আগরতলা।।ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজার পদে ১০৪টি শূন্যপদে লোক নিয়োগ করা হবে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্প, মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার মতো নতুন প্রকল্প রাজ্যে চালু করা হবে।

আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ নিগমে গ্রেড-এ ম্যানেজার পদের ৩৬টি শূন্যপদে এবং গ্রেড-বি ম্যানেজার পদের ৬৮টি শূন্যপদে লোক নিয়োগ করা হবে।

এক্ষেত্রে ৩৬টি গ্রেড-এ পদের মধ্যে ২৪টি পদের জন্য ইলেক্ট্রিক্যালের বি-টেক, ৪টি পদের জন্য মেকানিক্যালের বি-টেক এবং ৮টি পদের জন্য সিভিলে বি-টেক করা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া ৬৮-টি গ্রেড-বি পদের মধ্যে ৫৮টি পদের জন্য ইলেক্ট্রিক্যালের ডিপ্লোমা, ২টি পদের জন্য মেকানিক্যালের ডিপ্লোমা এবং ৮টি পদের জন্য সিভিলে ডিপ্লোমা করা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে। দপ্তর সরাসরি এই শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। তিনি আরও জানান, রাজ্যের সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করতে ‘মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে নতুন একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এই প্রকল্পের জন্য মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সংখ্যালঘু শ্রেণীভুক্ত মানুষদের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর থেকে ২টি কিস্তিতে ডেয়ারি, হাঁস ও মুরগি পালন সহ ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন সুবিধাভোগী উপকৃত হবেন। তাছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে সোনামুড়া মহকুমার নলছড়ে রাজ্যের দ্বিতীয় মহিলা মহাবিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা নামে নতুন এক যোজনার মাধ্যমে অন্ত্যোদয় পরিবারের সর্বোচ্চ দু’টি কন্যা সন্তানের জন্য আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই যোজনার মাধ্যমে অন্ত্যোদয় পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্মের পর ৫০ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা হবে। এই টাকা কন্যা সন্তানের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর ব্যয় করতে পারবে। এই যোজনার সুবিধা পেতে হলে কন্যা সন্তানের জন্ম অবশ্যই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হতে হবে, মায়ের বয়স ১৮ বছর ৯ মাসের বেশি হতে হবে এবং কন্যা সন্তানকে ১৮ বছর অব্দি অবিবাহিত থাকতে হবে।

সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর এই যোজনা বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও মন্ত্রিসভা এদিন ত্রিপুরা ওমেন এন্টারপ্রিনিওরশিপ পলিসিকে অনুমোদন দিয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের বিশেষত গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে ঋণ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ভর্তুকিতে মহিলারা ঋণ পেতে পারেন। দেশের কেবলমাত্র কয়েকটি রাজ্যে এ ধরণের পলিসি চালু রয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *