আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর:

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে হাজার হাজার শূন্য পদ খালি পড়ে রয়েছে। সেই শূন্য পদ গুলি পূরণ করার কোন উদ্যোগ সরকারের তরফে পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এই বিষয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে দফায় দফায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ডেপুটেশন সংগঠিত করে ছিল। কিন্তু তাতেও কোন সাড়া পরিলক্ষিত হয়নি।কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আউট সোর্সিং প্রথায় নিয়োগের কোন খামতি নেই। মঙ্গলবার ভারত সরকারের ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মডেল ক্যারিয়ার সেন্টার ডিস্ট্রিক্ট এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এর ব্যবস্থাপনায় অফিস লাইন আগরতলা স্থিত শ্রম-ভবন প্রাঙ্গনে প্রাইভেট কোম্পানিতে নিয়োগের জন্য জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়।

এই জব ফেয়ারে তিনটি বেসরকারি সংস্থার আটটি ক্যাটাগরিতে ২৭০ জন যুবক যুবতীকে নিয়োগ করা হয়।এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস ম্যান পাওয়ার প্ল্যানিং য়ের পক্ষ থেকে আধিকারিক অসীম সাহা জানান, রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বেকার যুবক- যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। তারই অঙ্গ হিসাবে এদিন আবারো জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়।

তিনটি বেসরকারি সংস্থার তরফে ২৭০ জন কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পূর্বে অনেকগুলি জব পেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও রাজ্যের যুবক-যুবতীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরি লক্ষিত হয়।বিভিন্ন সংস্থা ও অরগানাইজে শন ওই জব ফেয়ার গুলিতে ভালো সংখ্যায় লোক নিয়োগ করে ছিল।বর্তমানে তারা রাজ্যে এবং বহি: রাজ্যে যথেষ্ট দক্ষতা সহিত কাজ করছে। এদিনের জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে এতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেকার যুবক-যুবতীরা এখানে ইন্টারভিউ এর জন্য এসেছেন।

তিনি আশা করেন তারা দক্ষতা এবং যোগ্যতার সহিত কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হবেন। তিনি আরো বলেন, রাজ্যের ব্যাংক আর যুবক- যুবতীদের কর্ম ক্ষমতা এবং নিষ্ঠার জন্য আগ্রহ দেখে বহির রাজ্যের কোম্পানি গুলি রাজ্য থেকে আরও বেসরকারি প্রথায় লোক নিয়োগের করার জন্য তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।এই বহি:রাজের বেসরকারি কোম্পানি গুলি ভালো টাকার বেতন দেবেন বলেও তিনি জানান। বহির রাজ্যের বিভিন্ন কোম্পানিকে এই জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এই জব ফেয়ারে ক্লাস অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ থেকে শুরু করে এম এ – এম টেক পর্যন্ত উত্তীর্ণ যুবক যুবতীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।এখানে অনেক বেকার যুবক- যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।যার ফলে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে ৫০ হাজার সরকারি চাকরি-শূন্য পদ পূরণ করবে। তারপর এখনো বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মচারীর সংকট চলছে।

তারপরেও কেন বর্তমান সরকারের প্রধান শরিক বিজেপি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না এই নিয়ে গত সাড়ে সাত বছর ধরে বিজেপি দলের ভেতর থেকে শুরু করে বিরোধী দল সহ রাজ্যের সকল অংশের মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *