নিজস্ব প্রতিনিধি জনদর্পন : হাতির তান্ডবে দিশেহারা গ্রামবাসীরা। গোটা গ্রামে তীব্র আতংক বিরাজ করছে। গ্রামবাসীরা কয়েকবার লিখিত ভাবে প্রশাসনকে জানানোর পরও নিরুপায় গ্রামবাসীরা মিডিয়ার দারস্থ হয়েছে। ঘটনা কৈলাসহরের দেওড়াছড়া এডিসি ভিলেজে। উল্লেখ্য, দেওড়াছড়া এডিসি ভিলেজের সত্তর শতাংশ মানুষই দারলং সম্প্রদায়ের। গ্রামবাসীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই দেওড়াছড়া এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত চিনিবাগান, ডেফা, বেলকুমবাড়ি, মুরুইবাড়ি, প্রভৃতি গ্রামের কলা বাগান, পেঁপে বাগান, সুপাড়ি বাগান, লাউ বাগান, ইত্যাদি বাগান রাতের অন্ধকারে ধ্বংস করছে হাতি। অথচ এই হাতি জংলী হাতি নয়। পাশের গ্রামের হুরকুনা মিঞার হাতি এই রাতের অন্ধকারে বাগান ধ্বংস করছে। শুধুমাত্র বাগানই নয়, বাগানের ভিতরে যত টং ঘর আছে সমস্ত টং ঘরও ভেংগে ফেলেছে হাতি। হাতির এই তান্ডবে গ্রামে তীব্র আতংক বিরাজ করছে। গ্রামবাসীদের কয়েক লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। গ্রামবাসীরা সম্পুর্নরুপে নিরুপায় হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা হাতির মালিক হুরকুনা মিঞাকে কয়েকবার বললেও হাতির মালিক নিরুপায় গ্রামবাসীদের পাত্তাই দিচ্ছে না। উল্টো হাতির মালিক গ্রামবাসীদের হুমকি প্রদর্শন করে বলে গ্রামবাসীরা জানায়। সহজ সরল নিরুপায় গ্রামবাসীরা কয়েকবার বন দপ্তরের আধিকারিকদের জানানোর পর মহকুমাশাসক, জেলাশাসককে লিখিত ভাবে জানানোর পরও কোনো ধরনের কার্যকরী ভুমিকা নেওয়া হয় নি কিংবা গ্রামবাসীদের পাশে কেউ দাঁড়ায় নি। গ্রামবাসীরা জানায় গত বছরেও এই হাতি গ্রামের কয়েক লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট করেছিল। সেইসময়ও প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সাহায্যও করা হয়নি। এবার, গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চৌদ্দ ডিসেম্বর মংগলবার দুপুরে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমার কাছে ডেপুটেশনে মিলিত হয়ে লিখিত ভাবে জানায় যে, হাতির তান্ডবে যারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে যদি খুব শীঘ্রই সরকারি ভাবে সাহায্য করা না হয় তাহলে গ্রামবাসীরা কৈলাসহরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলবে। এমনকি যদি এই কারনে কোনো ধরনের অস্থির পরিবেশ তৈরি হয় তাহলে এর জন্য প্রশাসন সম্পুর্নরুপে দায়ী থাকবে।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, সরকারি ভাবে অর্থাৎ বন দপ্তরের হিসেবে ঊনকোটি জেলায় বত্রিশটি হাতির লাইসেন্স থাকলেও কার্যত দপ্তরের হিসেব থেকে অনেক বেশি হাতি ঊনকোটি জেলায় রয়েছে। দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে লাইসেন্স বিহীন হাতি দিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে।