চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি জনদর্পন: অবিরাম বর্ষণে মাটি ধস ভেঙে চুরমার জনৈক আব্দুল রহমানের নির্মীয়মান প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বসত ঘর।মাটির নিচে চলে গেছে ঘরের আসবাবপত্র ও নথিপত্র।আহত জামিল হোসেন (৮) এবং গুলজার হোসেন (১১) নামের দুই শিশু।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লকাধীন ত্রিপুরা অসম সীমান্তের তারকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের মোহনটিকি এলাকায়। জানা গেছে, শনিবার (১৪ মে) সকাল দশটা নাগাদ গৃহস্থ আব্দুল রহমানের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নির্মীয়মান বসত ঘরে মাটির ধ্বস পড়ে পুরো ঘরটি চুরমার হয়ে যায়।তখন ঘরে থাকা গৃহস্থ সহ তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ছেলে মেয়েরা প্রান নিয়ে দৌড়ে বাঁচলেও গুলজার ও জামিল নামের তাদের দুই পুত্র সন্তান অল্পবিস্তর আঘাত প্রাপ্ত হয়।গৃহিণী আনোয়ার ও তার ছেলে জানান,সকাল বেলার রান্না শেষে খাওয়ার বন্দোবস্ত করছিলেন তাঁরা।তখন ঘটে এই বিপত্তি।তবে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। তাঁরা জানান,প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তাদের ঘরের পেছনের টিলার মাটি ধ্বসে এই দূর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।বর্তমানে একটি মাত্র বসত ঘর ভেঙে যাওয়াতে পাশের বাড়ির ঘরে আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। তাদের দাবি সরকার ও স্হানীয় ব্লক কতৃপক্ষ তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে তাদের মাথা গুজার বিকল্প ব্যবস্থা নেই। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উত্তর জেলার জেলা পরিষদের সদস্যা অঞ্জনা চক্রবর্তী ও কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব, ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাভূষণ দাস । জেলা পরিষদের সদস্যা অঞ্জনা চক্রবর্তী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির কথা ব্লক চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গোচরে রয়েছে আর উনারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে ক্ষয়ক্ষতি প্রদান করা হবে।এখন দেখার বিষয়,সংশ্লিষ্ট দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে কি ভূমিকা পালন করে???
Images published in the Image Gallery are subjected to Copyright of the photographer under The Copyright Act, 1957 of the Republic of India.
Any unauthorized use of any image is prohibited.