আগরতলা: ত্রিপুরার ভূগর্ভস্থ জলস্তর বর্তমানে ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং এটি স্থিতিশীল রাখার জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী দিনে কীভাবে বৃষ্টির জল আরও কার্যকরভাবে সংরক্ষণ করা যায় এবং মানুষকে স্বনির্ভর করা যায়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে ।

এ কথা জানান কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ, আজ তিনি প্রজ্ঞা ভবন এ অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর কৃষি সেচ যোজনা (PMKSY) এর আওতায় ওয়াটারশেড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটি সভা সভাপতিত্ব করার পরে। মন্ত্রী বলেন যেসব রাজ্য বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভরশীল, তাদের আগামী দিনের পরিকল্পনা করা উচিত। তাই এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে। আমরা মাটিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য আমরা ওয়াটারশেড, চেক ড্যাম, পুকুর, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি নির্মাণ করছি। আমরা ইতিমধ্যেই সফলতার পথে রয়েছি।

মার্চ মাসের পর ফেজ ৩.০ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি ব্যক্তিগত ও কৃষিজনের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে সেখানে জলসংকট দেখা দিচ্ছে কারণ ভূগর্ভস্থ জলস্তর হ্রাস পাচ্ছে। কৃষি মন্ত্রী আরো জানান ত্রিপুরা নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে, কারণ এখানে মাত্র ৯.৭% ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে আসাম ব্যবহার করে ১৫% এবং পশ্চিমবঙ্গ ব্যবহার করে ৫২%। তবে আমাদের আগামী প্রজন্মের কথা ভাবা দরকার। এজন্যই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কৃষি সেচ যোজনার আওতায় এই ওয়াটারশেড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট শুরু করেছি।

এই সভার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, কিভাবে আগামী দিনে আরও বেশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা যায় এবং মানুষকে স্বনির্ভর করা যায়। আমি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করছি, তারা বাকি তহবিল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ব্যবহার করুন, যাতে পরবর্তী প্রকল্পে আমরা আরও বেশি তহবিল নিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারি। মন্ত্রী আরও জানান, সরকার জাতীয় সড়কের পাশে জলাশয় তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।

পাশাপাশি সেখানে সড়ক সংযোগ, শিশু পার্ক, খোলা জিম ও বৃক্ষরোপণও করা হবে।সভায় রাজ্যের আটটি জেলার সহ সভাধীপতিরা, দপ্তরের উচপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *