আগরতলা।।ইউনিটি প্রোমোফেস্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শান্তি সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা। পর্যটন শিল্পের আরো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে রাজ্যের বর্তমান সরকার।
আজ ধলাই জেলার ডম্বুরের নারকেলকুঞ্জে দুদিন ব্যাপী ইউনিটি প্রোমোফেস্ট - ২০২৫ এবং শিশু উদ্যানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যতম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এই রাজ্যে দ্বিতীয় বারের মতো ইউনিটি প্রোমোফেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমার শুনে খুবই ভালো লাগলো যে এবছর দুদিনের জন্য এই ইউনিটি প্রোমোফেস্ট এর আয়োজন করা হচ্ছে এখানে। যেটা গত বছর একদিনের ছিল। মানুষের দাবি থাকার কারণে এবছর একদিন বাড়ানো হয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যটন দপ্তর। ইউনিটি প্রোমোফেস্ট শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, এটা শান্তি সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা। আর সেটা আজকের অনুষ্ঠানে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের রাজ্যে প্রায় ১৯টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। জাতি জনজাতি গোষ্ঠী সহ সব অংশের মানুষের বসবাস এই রাজ্যে। যারমধ্যে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য প্রতিফলিত হয়। আগামীদিনে বিকশিত ত্রিপুরা ২০৪৭ আমরা করবো। সেই দিশায় কাজ করছে সরকার। পর্যটন ক্ষেত্রের প্রসারের জন্য এবার প্রায় ৬টি জায়গায় মেগা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। আর এই যাত্রা আজ নারকেলকুঞ্জ থেকে শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পের আরো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আমাদের ত্রিপুরার অনেক মানুষও ত্রিপুরা সম্পর্কে জানেন না। নিজের রাজ্য সম্পর্কে আগে জানতে হবে। নিজের রাজ্যকে আগে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে। ত্রিপুরায় অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে, যা অনেকে জানেন না। এই নারকেল কুঞ্জকে ঘিরে অনেকগুলি হোমস্টে গড়ে উঠেছে। এক বছরের মধ্যে বেশ ভালো আয় করতে পারছেন তারা। এতে আর্থিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছে।
ডাঃ সাহা বলেন, পর্যটন দপ্তর যেভাবে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে সাজিয়ে তুলছে তাতে শুধু দেশের নয়, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আমাদের রাজ্যে আসবেন। ইকো ট্যুরিজম এবং ধর্মীয় পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার .অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, ধলাই জেলার সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, বিধায়ক নন্দিতা রিয়াং, বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, ডম্বুর নগর আরডি ব্লকের চেয়ারম্যান প্রেম সাধন ত্রিপুরা, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, ধলাই জেলার জেলাশাসক বিবেক এইচ বি, পুলিশ সুপার মিহিরলাল দাস, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
