আগরতলা।।রাজ্যে তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধ ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছে । রাজধানী আগরতলার উত্তর গেইট এলাকায় সকাল থেকেই পথ অবরোধে বসে পড়েন বনধ সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিধায়ক তথা প্রাক্তন জঙ্গিনেতা রঞ্জিত দেববর্মা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও পিকেটারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, উল্টো যেন পিকেটারদের সহযোগিতা করে। অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ৮ দফা দাবিতে তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধ সমর্থন করেনি রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেছিলেন বনধের কোনো প্রভাব জনজীবনে পড়বে না। সরকার সব ধরণের ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু দেখাযায় হলো উল্টোটা। পুলিশ বনধ সফল করতে যেন সর্বোত ভাবে সহযোগিতা করে পিকেটারদের।

বৃহস্পতিবার কাকভোরেই রাজধানীর উত্তর গেইট এলাকায় পথ অবরোধে বসে পড়েন পিকেটাররা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন খোদ প্রাক্তন জঙ্গিনেতা তথা বর্তমান মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। দেখা যায় পুলিশের সামনেই বনধ সমর্থকরা গাড়ি বাইক ঘুরিয়ে দিচ্ছে। বাইকের চাবি খুলে নিচ্ছে। ডাক্তারদের পর্যন্ত কর্মস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ বনধ সমর্থকরা দাবি করে জরুরি পরিষেবা বনধের আওতার বাইরে রয়েছে। পুলিশ বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে কোনোরকম বল প্রয়োগ তো দূরের কথা উল্টো যেন সহযোগিতা করে বনধ সফল করার জন্যে। কোথাও পুলিশকে বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

বিধায়ক রঞ্জিত অবশ্য দাবি করেন তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে বনধ চালিয়েছেন। কোনরকং হিংসাত্মক ঘটনার খবর নেই। তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি মোট ৮ দফা দাবিতে বনধ ডাকে। তাদের মূল দাবি হচ্ছে বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিন্নিত করে তাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুপ্রবেশকারীরা বস্তি গড়ে রয়েছে। তাদের নথিপত্র যাচাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি এই ইস্যুতে বনধ ডাকলেও ইস্যুটি খুবই গুরুতর।

রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে ব্যাপক হরে চলছে অনুপ্রবেশ। সরকারকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মহল। সচেতন নাগরিকরা মনে করেন বনধ ডেকে কোনো সমস্যার সমাধান হয়না। প্রয়োজন এই জ্বলন্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *