আগরতলা।।উলফিয়া গ্লোবাসা হল প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত মাছের একটি জৈব খাদ্য। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং পরিবেশ দপ্তরের বায়োটেকনোলজি বিভাগের গবেষকগণ মাছের এই খাদ্য নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন।

এই গবেষণায় সফল হয়ে এখন তা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য মাছচাষিদের উৎসাহিত করছেন। যা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

আজ প্রজ্ঞাভবনের ৩ নং হলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তর এবং লেম্বুছড়া মৎস্য মহাবিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘উলফিয়া গ্লোবাসা এজ এন অলটারনেটিভ ফিস ফিড’ বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত একদিনের কর্মশালায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা একথা বলেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র কর্মশালার মধ্যেই যেন এই বিষয়টি সীমাবদ্ধ না থাকে। এ বিষয়ে কৃষকদের বা মাছচাষিদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া বিশেষ জরুরি। পুকুর, জলাশয় প্রভৃতি মাছ চাষের স্থানগুলির পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যেমন স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এ বিষয়টিও মৎস্য দপ্তরের কর্মীগণকে নজরে পরামর্শ দেন। উলফিয়া চাষের জন্য বেশি করে উৎসাহিত করতে তিনি মৎস্য বিভাগের কর্মীদের পরামর্শ দেন। মাছের এই খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকগণ অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন। তাই এই বিষয়টি নিয়েও তাদের সচেতন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা কর্মশালায় উপস্থিত মাছচাষিদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সুষ্ঠু পরিবেশে মাছ উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে লেম্বুছড়াস্থিত মৎস্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ. বি. প্যাটেল, উলফিয়া গ্লোবাসার উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধিকর্তা মহেন্দ্র সিং। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা অঞ্জন সেনগুপ্ত।

কর্মশালায় মাছ উৎপাদনে উলফিয়া গ্লোবাসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার দাশু চাকমা। মশার লার্ভা খেয়ে মশার বংশ বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে যেসব মাছ সেইসব মাছের চাষ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. পাপড়ি দাস সেনগুপ্ত। ডেভেলপমেন্ট অব ফিস ফিড প্রোডাক্টস ফম উলফিয়া এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন লেম্বুছড়া মৎস্য মহাবিদ্যালয়ের সহ-অধ্যাপক ড. ভাগবী প্রিয়দর্শিনী।

কর্মশালায় ভার্মিটেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করেন বীরবিক্রম মহাবিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. নন্দিনী গুপ্ত।কর্মশালায় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন মৎস্যচাষিগণ, হলিক্রস, ফিসারি, রামঠাকুর, বি.বি.এম.সি. ইত্যাদি কলেজগুলির বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *