আগরতলা।।চাকমা ভাষার উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকমা ভাষাকে গুগল অনুবাদ প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করা, একটি জাতীয় সেমিনার আয়োজন করা এবং আগামী ৭ আগস্ট ‘চাকমা লিপি ও ভাষা দিবস’ পালন করা । বিদ্যুৎ ও কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ চাকমা ভাষা উন্নয়ন সংক্রান্ত উপদেষ্টা
কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান। মন্ত্রী, যিনি এই উপদেষ্টা কমিটির পৃষ্ঠপোষক, জানান যে ভাষার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।তিনি বলেন আজ সাতটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে চাকমা লিপিকে গুগল অনুবাদ প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার শব্দ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আরও সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও জাতীয় সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, ২০১১ সালের জনগণনায় ত্রিপুরায় চাকমা সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার। বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.২৫ লক্ষে।
তিনি বলেন, মোট আটটি সম্প্রদায় রয়েছে এবং তাদের ভাষার বিকাশের জন্য যেমন চাকমা, মণিপুরি, ককবরক প্রভৃতি ভাষার ক্ষেত্রে, ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা দপ্তর গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার প্রায় ১২৩টি বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের চাকমা ভাষা পড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যেমন ত্রিপুরায় প্রতি বছর ১৯ জানুয়ারি ককবরক দিবস উদযাপিত হয়, তেমনই ৭ই আগস্ট চাকমা লিপি ও ভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৈঠকে চেয়ারম্যান শম্ভু লাল চাকমা এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।