আগরতলা, ২৬ জুলাই।। আমার জীবনের এক স্মরণীয় দিন। সোনালী এক মুহূর্তের সাক্ষী। ব্যক্তিগত নিরিখে যদি বলি, ১৯৮৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে ক্রীড়া সাংবাদিকতার প্রেক্ষাপটে এটি একটি মাইলস্টোন।

টিসিএ-র সেই ছোট্ট ঘরে প্রতিদিন গিয়ে খবর সংগ্রহ করে আনা, এমবিবি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ক্লাব হাউজের দারোদ্ঘাটন, এমন কি ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং প্রথম ম্যাচ কাভার করার এক্রিডিটেড স্পোর্টস জার্নালিস্ট-এর কার্ড পেয়ে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে যাওয়া, অনুষ্ঠান উপভোগ করা, প্রথম ম্যাচ কাভারেজ — প্রতি মুহূর্তেই একটা কথা মনে আসতো, যদি কখনও ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারতাম।

দেরিতে হলেও টিসিএ-র বর্তমান পরিচালন কমিটি, পরিবার বড় করার মন-মানসিকতায় সত্যিকার অর্থে বৃহৎ মনের পরিচয় দিয়েছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রস্তাবক, সমর্থক থেকে শুরু করে প্রত্যেককে। রাজ্য ক্রিকেটের মান উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য হিসেবে জড়িত হয়ে কিছু করার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে। নতুন আঙ্গিকে আমার মতো আরো যাঁরা একনিষ্ঠ সংগঠক ব্যক্তিত্বের নিদর্শন স্বরূপ টিসিএ-র আজীবন সদস্য পদ পেয়েছেন, আমি প্রত্যেককেই ধন্যবাদ জানাবো, তাঁদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি বলে। উল্লেখ্য, আজ শনিবার দুপুরে শহরের এক অভিজাত হোটেলে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নবীন এবং পুরাতন আজীবন সদস্যদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান এবং প্রাসঙ্গিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানে টিসিএ-র পক্ষ থেকে সংবর্ধিত হয়ে প্রত্যেকের পাশাপাশি আমিও নিজেকে ধন্য মনে করছি।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক তথা প্রধান অতিথি হিসেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান তথা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরিন্দম লোধ, ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন লোধ, সহ-সভাপতি উপানন্দ দেববর্মা, সচিব সুব্রত দে, কোষাধ্যক্ষ বাসুদেব চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুরাতন আজীবন সদস্যদের পাশাপাশি টিসিএ-র পরিচালন কমিটি এবং কর্মকর্তাবৃন্দ নতুনদের যেভাবে বরণ করে নিলেন, সাংগঠনিক দৃষ্টিকোণে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সামগ্রিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য বিষয়টা অত্যন্ত বৃহৎ মানের পাথেয় হয়ে থাকবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *