আগরতলা।।বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন এক অনন্য সাধারণ কবি ও সাহিত্যিক।বৃটিশের অত্যাচার, শোষণ থেকে দেশকে স্বাধীন করতে তাঁর রচিত নানান কবিতা, গান, প্রবন্ধ যুবাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করেছিল। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী কবি। তাই বর্তমান প্রজন্মকে তাঁর চিন্তা, চেতনা ও আদর্শের পথ অনুসরণ করতে হবে।
যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিন্তু রায় আজ নজরুল কলাক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিচ্ছু রায় সহ পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল হিমানী দেববর্মা, কর্পোরেটর সুখময় সাহা, ত্রিপুরা রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ও অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গুণীজনেরা কবি কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন, কবি নজরুল তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে যুবাদের উদ্বুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। তাঁর মহৎ চিন্তা ও আদর্শ আজও প্রাসঙ্গিক।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রয়শই বলতেন কাজী নজরুল ইসলামকে যত জানবে তত বুঝবে, ততই আমাদের দেশের সংস্কৃতির অগ্রগতি ঘটবে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদেরকে নজরুলের আদর্শকে পৌঁছে দিতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর জাতি জনজাতির অনেকগুলি লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা বিগত সরকারের আমলে পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি বলেন, সামাজিক কুপ্রথা নির্মলীকরণে, বাল্যবিবাহ ও নাবালিকা গর্ভাবস্থার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। স্বাগত ভাষণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।
স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর লেখা জাগরণ সৃষ্টি করেছিল। অনুষ্ঠানে বহু শিল্পী নজরুল গীতি, সমবেত নৃত্য ও সমবেত আবৃত্তি পরিবেশন করেন। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ।