আগরতলা: মাছ , দুধ , ডিম্ ও মাংস উৎপাদনে ত্রিপুরা আগামী ৫ বছরের মধ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার লক্ষে কাজ করছে। দুগ্ধ উৎপাদনে ত্রিপুরা এখন উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রেও ত্রিপুরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।

দুগ্ধ উৎপাদনে রাজ্যের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি করতে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বামুটিয়ায় গড়ে তোলা হয়েছে গোমতী ডেয়ারীর দ্বিতীয় ইউনিট। প্রায় ৪০,০০০ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন উত্তর পূর্বাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ডেয়ারী হিসাবে এই ইউনিটটির উদ্বোধন হয় শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং ও মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হাত ধরে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস, মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া, দুগ্ধ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান রতন ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠান শেষে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বাস যে, ত্রিপুরা দুধ ও মৎস্য উৎপাদনে আত্মনির্ভর হতে পারে এবং এর জন্য যেকোনো ধরনের সহায়তা করতেও প্রস্তুত রয়েছে কেন্দ্র। তাছাড়া আগামী জুন মাসেই কেন্দ্র থেকে পশু পালন ও মৎস্য পালনের আধিকারিকদের একটি টিম আসবে ত্রিপুরায়। তারা কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতেগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাছ , দুধ , ডিম্ ও মাংস উৎপাদনে ত্রিপুরা আগামী ৫ বছরের মধ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার লক্ষে কাজ করছে। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির মন্ত্রী ও আধিকারিকরা সেই দিশাতেই কাজ করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দুগ্দ্ধ উৎপাদনে ত্রিপুরা এখন উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রেও ত্রিপুরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে প্রাণী পালকদের আরো বেশি করে আকৃষ্ট করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গোমতী ডেয়ারী ইউনিটকে তাদের গুনগত মান বজায় রাখার জন্যেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার সাহা। ডেয়ারী ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে পায় ১৯ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। আর রাজ্য সরকার দিয়েছে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুধাংশু দাস, শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া সহ অন্যান্নরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা গিয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *