আগরতলা,১৬ মে।।ডিজিটাল প্রশাসনকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আজ প্রজ্ঞাভবনে ‘সুশাসনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রভাব বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক সচেতনতামূলক-কাম-দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন জাতীয় ই-গভর্নেন্স বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় মুখ্যসচিব জে. কে. সিনহা, তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং অধিকর্তা জেয়া রাগুল গেশন বি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যসচিব জে. কে. সিনহা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ.আই) প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলির দায়বদ্ধতাকে শক্তিশালী করতে পারে, সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনতে পারে এবং পরিষেবা প্রদানের সামগ্রিক গুণমানকে উন্নত করতে পারে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ই-অফিস, ই-ক্যাবিনেট এবং বেনিফিসিয়ারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বি.এম.এস.)। এই উদ্যোগগুলি প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে সহজতর করার পাশাপাশি প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করেছে, যা ডিজিটাল ত্রিপুরা এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। মুখ্যসচিব জন প্রশাসনকে আরও উন্নত এবং আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তিগুলি গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ.আই) এখন আর ভবিষ্যতের কোনও ধারণা নয়, বরং বর্তমান সময়ে তা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, দ্রুত পরিষেবা প্রদান এবং পরিচালনগত দক্ষতার এক শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। জনগণকে দ্রুত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ.আই. ভিত্তিক উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তি, উন্নত প্রশাসনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, বুদ্ধিদীপ্ত জন প্রশাসনের জন্য এ.আই টুলস, শক্তিশালী এ.আই, পরিকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জাতীয় ই-গভর্নেন্স বিভাগের এবং ইন্ডিয়া এ.আই মিশনের বিশেষজ্ঞরা বিস্তারিত আলোচনা করেন

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *