আগরতলা: ত্রিপুরায় পর্যটন ক্ষেত্রে সি প্লেন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা। এনিয়ে শনিবার হয় ভার্চুয়াল বৈঠক। যদিও বিষয়টি এখনও প্রাথমিক স্তরে। জলের উপর উড়ানক্ষম বিশেষ বিমান (সি-প্লেন) চালুর পরিকল্পনা নেওয়ার হচ্ছে। এজন্য একটি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার এক কর্মকর্তার সঙ্গে শনিবার ভাচুয়াল বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে আরও আকৃষ্ট করার জন্য কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সহায়তায় সি প্লেন কনসেপ্ট চালুর চিন্তাভাবনা। যারা সি প্লেনের দায়িত্ব পাওয়ার সবচেয়ে বেশী সুযোগ রয়েছে সেই বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার এক আধিকারিকের সঙ্গে শনিবার ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এদিন বিকেলে মহাকরণে হয় এই বৈঠক। বৈঠক পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন পরিবহণ, পর্যটন দপ্তরের সচিব, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা, পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব সহ অন্য আধিকারিকরা। এদিন ভার্চুয়াল কথা হয় ধলাই ও সিপাহীজলা জেলা শাসকদের সঙ্গে। ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এদিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে ডম্বুর লেক ও নীরমহলে চালুর। তবে সংশ্লিষ্টরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখেছেন ত্রিপুরায় চালু করা যেতে পারে ডম্বুরেই। কারণ এর আয়তন যেমন বেশী তেমনি সব ঋতুতে জলের গভিরতা থাকে।রাজ্যে আসা পর্যটকরা যাতে স্বল্প সময়ে নারিকেল কুঞ্জ – ছবিমুড়া সহ অন্যান্য বিশালাকার জলজ পর্যটন কেন্দ্রের কাছে অতি সহজে পৌঁছাতে পারেন তার জন্য রাজ্যে সামুদ্রিক বিমান পর্যটনের পরিষেবা চালু করতে রাজ্যের পরিবহন ও পর্যটন দপ্তর যৌথভাবে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামুদ্রিক বিমান পর্যটন বর্তমান সময়ে একটি আকর্ষণীয় এবং নতুন পর্যটন পদ্ধতি।
এটি রাজ্যে চালু হলে পর্যটকের সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি অর্থনৈতিক বুনিয়াদও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।সি প্ল্যানের জন্য প্রায় ১ কিমি রানওয়ে থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যে এসে সার্ভে করার জন্য।